দীর্ঘ ১৪ মাস পর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লাল বলের স্টেট খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টেস্ট ম্যাচ খেলার দীর্ঘ বিরতিকে সামনে রেখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৪ সদস্যের দলে রয়েছে ৪ নতুন মুখ। এরা হলেন সাব্বির রহমান, নুরুল হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বী এবং মেহেদি হাসান মিরাজ।
সর্বশেষ গতবছর জুলাই-আগষ্টে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দলে থাকা ক্রিকেটারদের ৬ জন এবার দলের বাইরে। ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে রয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরতে পারেননি লিটন দাস এবং মোহম্মদ শহীদও আর টিম কম্বিনেশনের কারণে বাদ পড়েছেন নাসির, জুবায়ের এবং রুবেল।
ক্রিকেট পাড়ায় আলোচনা, টেস্ট ক্যাপ উঠছে কার মাথায় আর একাদশে থাকছেন কে কে?
টি২০ এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে বরাবরই টাইগারদের জার্সিতে আলো ছড়ানো সাব্বির রহমানের একাদশে অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই নিশ্চিত। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি হাত ঘুরিয়ে সবার নজর কেড়েছেন। ইংল্যান্ড দলে রয়েছে বেশ কয়েকজন বাহাতি ব্যাটসম্যান সেক্ষেত্রে সাব্বিরের অফ স্পিন কার্যকরী হবে, সেই যোগ্যতা মাথায় রেখে একাদশে তার অন্তর্ভূক্তির দাবি জোরালো করেছে।
চট্টগ্রামে অভিষেক হতে পারে তরুণ টাইগার তুর্কি মেহেদি হাসান মিরাজের। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জুনিয়র টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়ে আলো কেড়েছেন আগেই। এখানেই শেষ নয় জুনিয়র বিশ্বকাপে অলরাউন্ডার হিসেবে আলো ছড়ালেও স্পিন সক্ষমতার কারণেই তাকে দলে নেওয়া হয়েছে বলা হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। তাই আশা থাকছে মিরাজের জন্যও। তাইজুল-সাকিবের সঙ্গে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে ইংলিশদের বিরুদ্ধে হাত ঘুরাতে দেখা যেতে পারে তাকেও। মিরাজ ইতিমধ্যে জানিয়েও রেখেছেন ৭ কিংবা ৮ নেমে টেলএন্ডারদের নিয়ে দলকে টেনে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে তার।
মিরাজের একাদশে থাকার সুযোগের কারণে বাদ পড়তে পারেন শুভাগত হোম। ২০১৪ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ১৩ ইনিংসে শুভাগত মাত্র একবার পঞ্চাশের বেশি রান করতে পেরেছেন। শুধুমাত্র স্পিনকে সক্ষমতাকেই বড় করে দেখা হচ্ছিল।
এর বাইরে উইকেট কিপার হিসেবে নুরুল হাসানের একাদশে আসা অনেকটাই অনিশ্চিত। কোনো কারণে মুশফিকুর রহিম কিপিং করতে অসমর্থ হলে নুরুল হাসান একাদশে থাকতে পারেন। এরআগেও মুশফিক শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ছিলেন আর কিপিং গ্ল্যাভস ছিলো লিটন দাসের হাতে।
স্পেশালিস্ট বোলার হিসেবে অভিজ্ঞ পেসার শফিউল ইসলামের সঙ্গে অভিষিক্ত হয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বীর একাদশে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত। আর স্পিন আক্রমনে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে থাকবেন সাকিব আল হাসান।
গত কয়েক বছর ধরেই টাইগার টেস্ট একাদশে মুমিনুল হকের জায়গা অনেকটাই পাকাপোক্ত। তাই তাকে জায়গা করে দিতে একাদশের বাইরে চলে যেতে হতে পারে ইমরুল কায়েস কিংবা সৌম্য সরকার যেকোনো একজনকে। পারফর্মেন্স বিচারে খড়গটা নেমে আসতে পারে সৌম্য সরকারের ওপরই।
সেক্ষেত্রে ওপেনিং জুটিতে তামিমের সঙ্গে দেখা যেতে পারে ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসকে। ওয়ান ডাউন পজিশনে অনেকটা নিশ্চিত মুমিনুল হক। এরপরে দলের প্রয়োজনে দেখা যেতে পারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাব্বী এবং শফিউল ইসলাম।
আর বল হাতে শফিউল-তাইজুল-সাকিব-রাব্বীর সঙ্গে হাত ঘুরাতে পারেন সাব্বির রহমান-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মেহেদি হাসান মিরাজ।