২৬৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে শঙ্কার ধাক্কা। সেই ধাক্কা সামলে কাব্যিক এক জয়। সাদা চোখে এই জয়ের পেছনে সাকিব-রিয়াদের ২২৪ রানের জুটিই প্রধান কারণ। কিন্তু সেটা ছাড়াও অন্তরালে আরও কিছু ব্যাপার ঘটে গেছে, যার ওপর দাঁড়িয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
টসে হার: টস হারায় প্রথমদিকে চিন্তা বেড়েছিল। তার ওপর আবার বৃষ্টির চোখ রাঙানি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে টসে হেরে বাংলাদেশের ভালোই হয়েছে। কার্ডিফের ইতিহাস বলে, এই মাঠে রান তাড়া করে জেতা সহজ হয়।
বাংলাদেশ যখন ব্যাট করতে নামে, তখন শুরুতে বল বেশ সুইং করছিল। ভেতরে, বাইরে কাট করছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এই ভয়াবহতা কমে আসে। রিয়াদ-সাকিব যখন জুটি গড়েন, তখন অতটা সুইং ছিল না।
মাঠ ছাড়তে ছাড়তে রিয়াদও এই কথা বলে যান, ‘শুরুর দিকে কাজটা কঠিন ছিল, কারণ তাদের বোলিং খুব ভালো হচ্ছিলো। পেসাররা সুইং পাচ্ছিলো। ধীরে ধীরে সুইং কমে গেছে এবং আমাদের জন্য ব্যাটিংটা সহজ হয়ে যায়।’
মাশরাফি ম্যাজিক: বরাবরের মতো এই ম্যাচেও মাশরাফির ম্যাজিক দেখা গেছে। সবাইকে অবাক করে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৪২তম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক। তাতেই নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ধীর হয়ে যায়। মোসাদ্দেক ১২ বলের ভেতর ৩ উইকেট নিয়ে কিউইদের চাপে ফেলে দেন। সেই চাপ কাটিয়ে ৩০০ ছুঁতে পারেনি দলটি।
হঠাৎ কেন মোসাদ্দেক স্মরণ? ম্যাচ শেষে ইয়ান বিশপকে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মাশরাফি, ‘সে নিউজিল্যান্ডে জিমি নিশামকে দুইবার আউট করেছিল, কোরি অ্যান্ডারসনকেও একবার। আমার কাছে এটা খুব বড় ব্যাপার মনে হয়েছে। আমি তাই অপেক্ষায় ছিলাম, কখন বাঁহাতিরা আসবে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা একবার উইকেটে আসার পর, আমার জন্য খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল এটি।’