আফগানিস্তানকে আবার পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য অনেকটাই এগিয়ে গেছে তালেবানরা। দেশটির বড় শহরগুলোর মধ্যে এখন শুধু কাবুলই সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।
কোনো রকম সংঘর্ষ ছাড়াই আফগানিস্তানের পশ্চিমের গুরুত্বপূর্ণ শহর জালালাবাদের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তার একদিন আগে অবরুদ্ধ মাজার-ই-শরিফের নিয়ন্ত্রণও নেয় তারা। শনিবার বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘর্ষ ঘটলেও বড় ধরনের কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম এ শহরটির পতন হয়।
শহরটিতে তালেবানের আক্রমণে সরকারি বাহিনী পালিয়ে গেছে এবং তারা রাজধানী কাবুলের দিকে এগোচ্ছে। এর আগে কাবুলের দক্ষিণে পুল-ই-আলম শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর রাজধানী কাবুল এখন তালেবানদের হাতে অনেকটাই অবরুদ্ধ।
কাবুলের ৭ মাইলের মধ্যেই তালেবান বাহিনী রয়েছে বলে জানা গেছে। খুব শিগগিরই কাবুলের পতন হবার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে সেখানে কয়েক হাজার সৈন্য পাঠিয়ে তাড়াহুড়া করে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি পদত্যাগ করার জন্য চাপের মধ্যে পড়েছেন। তাকে হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে হবে।
২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সাথে সাথেই সেখানে অস্থিরতা তৈরি হয়। এই যুদ্ধে সবার আশঙ্কা, ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে যেসব মানবাধিকার অর্জন করা গিয়েছিল তা আবার হারিয়ে যাবে।
১৯৯০ সালে তালেবান নিয়ন্ত্রণাধীন জীবনে নারীদের পুরোপুরি বোরকা পরতে বাধ্য করা হতো, ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের জন্য শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিলো এবং প্রকাশ্যে ফাঁসিসহ নৃশংস শাস্তির ব্যবস্থা ছিল।