মাত্র দুইদিন আগেও ৭ বছরের শিশু সায়মা সারাক্ষন হাসি-খেলায় মাতিয়ে রাখতো পুরো পরিবারকে। অল্পসময়ের ব্যবধানে আদরের সন্তান সায়মার পোষাক, বই ও ছবি এখন বাবা-মায়ের কাছে শুধুই স্মৃতি। সামিয়ার বাবা বলেছেন, আমরা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে হারুনের ফাঁসি কার্যকর চাই।
দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্তানহারা পিতা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মাকে ১০ মিনিটের কথা বলে বাসা থেকে বের হয় শিশু সায়মা। এই যাওয়াই ছিলো তার শেষ যাওয়া। প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়। রোববার সকালে কুমিল্লার তিতাসের ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে অভিযুক্ত হারুনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সায়মার বাবা বলেন, আমার মেয়েকে দুইভাবে নির্যাতিত করা হলো। আমি অতি দ্রুত সময় সর্বোচ্চ তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে আসামীর ফাঁসি কার্যকর চাই।
খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যাদের সন্তান আছে তারা এসব কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তির কাছ থেকে কীভাবে আপনার সন্তানদের দূরে রাখবেন, বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আমি আমার মেয়েকে দেখে রাখতে পারি নাই। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মেয়েটা আমার স্ত্রীকে বলে ১০ মিনিটের জন্য বাইরে গেলো। এরপর আমার মেয়েটা আর ফিরলো না, তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হলো।
‘গত ২ দিন ধরে আমি একফোঁটা পানিও খাইতে পারি নাই। ঘরে গেলে মেয়ের কাপড়-চোপড়, ছবি দেখে আর ঠিক থাকতে পারিনা। আমার পুরো পরিবারটা বিদ্ধস্ত হয়ে গেলো।’
কান্না ভেজা গলায় মেয়ের স্মৃতিচারণ করে আব্দুস সালাম বলেন, আজকের পর যেন ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে না যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায়, সায়মাকে ছাদ ঘুরিয়ে দেখানোর প্রলোভনে ছাদে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করে হারুন।