কানাডার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বেশ পরিবর্তন আসছে। এর আওতায় আগামী ৫ জুলাই থেকে কানাডার বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী, যারা পুরোপুরি টিকা বা দুটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারা সহজেই কানাডায় যাতায়াত করার অনুমতি পাবেন।
এছাড়া আগামী ৫ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নিয়মে ভ্রমণকারীরা বর্তমানে বিদ্যমান স্বাস্হ্যবিধি অনুসারে কানাডায় প্রবেশের পর ১৪ দিনের জন্য স্ব-বিচ্ছিন্ন হতে হবে না বা ৩ দিনের জন্য হোটেলে কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে হবে না।
অন্যদিকে কানাডায় করোনার প্রকোপ কমতে শুরু হলেও দেশটির নাগরিকদের শঙ্কা এখনও কমেনি। এখনও প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তবে তা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
তবে কানাডায় গ্রীষ্মের আমেজ শুরু হলেও অনেকেই ঘর থেকে এখনো বের হচ্ছেন না স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে। দুই ডোজ টিকা নেবার পরও অনেকের আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কানাডার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সরকার প্রধান এবং বিভিন্ন প্রদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করেছেন।
বিশিষ্ট কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মাহমুদ হাসান বলেন: করোনার শুরু থেকেই সরকার আগাম সতর্কতা নিতে পিছপা হয়নি।
এমনকি এখন পর্যন্ত সরকারের নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপেরও তিনি ভূয়সি প্রশংসা করেন।
২১ জুন সোমবার নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী পট্টি হাজদু বলেছেন: আমরা কানাডিয়ানদের সবাইকে বলে আসছি, আন্তর্জাতিক ভ্রমণে সহজতর পদক্ষেপগুলি তখনই নেওয়া হবে, যখন আমরা দেখব আমাদের সম্প্রদায়গুলি ক্রমবর্ধমানভাবে নিরাপদ হয়ে উঠছে।
কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী পট্টি হাজদু সোমবার নতুন এই পরিকল্পনার ঘোষণায় আরও বলেছেন: আপনি যদি এই গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনি যে দেশে সফর করছেন সেগুলির নিয়মকানুন পরীক্ষা করে দেখুন।
কানাডায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল হবে ৫ জুলাই থেকে তবে পরিবর্তনটি সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া অ-নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় যারা বিনা কারণে ভ্রমণ করছেন এবং যে কোনও ভ্রমণকারী কানাডিয়ান নাগরিক পুরোপুরি ২টি ভ্যাকসিন নেননি, তাদের জন্য বিদ্যমান ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর থাকবে। কানাডার বর্ডার সার্ভিস অফিসাররা প্রতিটি ভ্রমণকারীদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিবেচনার জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় ১৪ লাখ ১২ হাজার ২শত ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৬ হাজার ১শ’ ৯৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯শ’ ৪ জন।