শুক্রবার (২৫ জুন) পর্দা নামলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘তৃতীয় বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১’ এর। কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবারের পুরো আসরটি সম্পন্ন হয়েছেন অন্তর্জালে।
সারাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে প্রায় ৪০০টি চলচ্চিত্র থেকে বাছাই করে ১১৯টি চলচ্চিত্র (৮১টি কাহিনি চলচ্চিত্র ও ৩৮টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র) এই উৎসবে প্রদর্শনী হয় বলে একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ৭টি বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা ও শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনায় পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ বছর স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনি চলচ্চিত্র বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে সারা বিনতে আফজলের ‘আশ্রয়’, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ‘শব্দের ভেতর ঘর’ এর জন্য ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদ, বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে পরিচালক মেহেদী হাসান শামীমের ‘দ্যা ক্রিমেশন’ এবং অপরাজিতা সংগীতার ‘রিভোল্ট (দ্রোহ)’।
প্রামাণ্য চলচ্চিত্র বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘হাউসের ধুয়া’। পরিচালক মো. রাসেল রানা (দোজা), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমদের ‘আনতারা’। অন্যান্য বিভাগে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ ‘শব্দের ভেতর ঘর’ চলচ্চিত্রের জন্য ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদ, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা ও শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনায় ‘হাউসের ধুয়া’ চলচ্চিত্রের জন্য দেবাশীষ দাস।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১ লাখ ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ১লাখ এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার ৫০ হাজার, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনায় ২৫ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক পুরস্কার দেওয়া হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ এর সভাপতি ফরিদুর রহমান।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমি নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা করিম।