চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কানাডায় বিমান সংস্থার আয় কমেছে ৪৩ শতাংশ

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস শুধু মৃত্যু নয়, সারা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যাপক আঘাত হেনেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বিমান ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসায়। যদিও সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ম-নীতি মেনে সব শুরু হয়েছে তারপরও আশঙ্কা রয়েই গেছে।

মার্চের শুরু থেকেই কানাডা ঘোষণা করেছে, কানাডার নাগরিক বা বিমানের ক্রু সদস্য, কূটনীতিক এবং স্থায়ী বাসিন্দা নয় এমন কেউই কানাডায় প্রবেশ করতে পারবে না। বিশেষত সীমান্তের পাশাপাশি দেশটির সরকার বহির্বিশ্বের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।

গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত কানাডিয়ানদের কানাডার বাইরে সব অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিচ্ছে। তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে, পরবর্তীতে দেশের বাইরে যাওয়া যাত্রীরা ফিরে আসতে অসুবিধা বা কানাডায় ফিরে নাও আসতে পারে। দেশটির সরকার অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবাও বন্ধ করে দেয়। এর পরিবর্তে স্থায়ী বাসিন্দা বা যাত্রীর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য স্থল, রেল ও সমুদ্রপথে কানাডায় প্রবেশ করতে পারবে। তবে বহিরাগত নাগরিক হলে অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংস্থাটি জানায়, মহামারির কারণে বিমান শিল্প এখন ধ্বংসের মুখে। এরইমধ্যে তাদের কয়েক কোটি ডলার লোকসান হয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় কানাডায় বিমান সংস্থার আয় কমেছে ৪৩ শতাংশ। এছাড়া গেলো মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া এতো অভিযোগকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

তারা জানায়, গত পাঁচ মাসে যে অভিযোগ পেয়েছে তা ২০১৮-২০১৯ সালের অভিযোগের থেকেও বেশি।করোনার কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়াতে টিকিটের টাকা ফেরতসহ বেশ কিছু কারণে এই অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কানাডায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৩ জন, মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ১৪১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৪৪ জন।