‘স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি’র শর্ত শিথিলের দাবিতে কানাডায় বর্তমান এবং প্রাক্তন বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে।
শনিবার টরন্টোতে কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে তারা।
কানাডার অভিবাসন আইন পরিবর্তনের দাবি তুলে বিক্ষোভকারীরা শ্রমবাজার ঘুরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার শর্ত শিথিলের দাবি জানান। কারণ, বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে বিদ্যমান শর্ত পূরণ করা একেবারেই অসম্ভব।
কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। ‘মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স এলায়েন্স ফর চেইঞ্জ’র অন্যতম সংগঠক সারোম রোহ বলেন, করোনা মহামারী প্রভাব ফেলেছে আর্থিক কর্মকাণ্ডেও। এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও কানাডার চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন না। এজন্য তারা গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতেও সক্ষম হচ্ছেন না।
তিনি যোগ করেন, করোনার কারণে কানাডার লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় অভিবাসী শিক্ষার্থীরাও কাজ সংগ্রহ করতে পারছে না। কাজ ছাড়া কেউই স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কানাডা অভিবাসন দপ্তরে আবেদনও করতে পারছেন না। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ওয়ার্কপারমিট নবায়নের ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ তারা যদি বেকার থাকেন তাহলে কানাডায় অবস্থানের সুযোগ পাবেন না। অভিবাসন এজেন্টরা তাদের গ্রেপ্তার করে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেবে।
এ অবস্থার অবসানে শিক্ষার্থীরা প্রাদেশিক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আপদকালীন সময়ে বেকার শিক্ষার্থীদের ওয়ার্কপারমিট নবায়নের রীতি পুনর্বহালের জন্য। মানবিক কারণে হলেও এটি করা দরকার বলে তারা মনে করছেন। সেজন্য একটি অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষরও সংগ্রহ করা হচ্ছে। শনিবার বিকেল নাগাদ ১৮ হাজার স্বাক্ষর পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কানাডার সরকার দেশটির নাগরিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাপক সহযোগিতা দেওয়ার পরও অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। নিজেদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে অনেকেই রেস্টুরেন্টে যাচ্ছেন না, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে, অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে।
এতকিছুর পরও কানাডা সরকার নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিভিন্ন প্রণোদনামূলক ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে।