কানাডার ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টারে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
প্রবাসী জীবনে শুক্রবার কার্য দিবস থাকায় সন্ধ্যায় পালিত হয় দিবসটি। ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টার মুহূর্তেই হয়ে ওঠে একখণ্ড বাংলাদেশ।
দিবসটিকে ঘিরে প্রচুর সংখ্যক লোক সমাগম ঘটে। এ সময় ক্যালগেরির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সেন্টারে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সূচনা সংগীতের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী, ক্যালগেরির বিভিন্ন কবি ও লেখক এর নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং চা-চক্র দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বইমেলার আয়োজন করা হয়। এসময় ক্যালগেরি স্থানীয় বাংলা নিউজ সি এ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন: ৬৮ বছর আগে মাতৃভাষা বাংলাকে বাঁচাতে ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো বাঙালি সূর্য সন্তানেরা। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকারে জীবন উৎসর্গ করেছিল এদেশের দামাল ছেলেরা। ভাষা আন্দোলনের গৌরবের ইতিহাসের পথ ধরে আজ সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ঐদিন বাংলাদেশের মানুষ প্রথম ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে।
বক্তারা আরও বলেন: সেদিন একুশ না হলে হয়তো আমরা স্বাধীনতা পেতাম না।
বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সভাপতি মোহাম্মদ রশিদ রিপন বলেন: আজ বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের দিন। একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মানুষকে শিখিয়েছে আত্মত্যাগের মন্ত্র, করেছে মহিয়ান।
তিনি আরো বলেন: প্রবাস জীবনে আমাদের নতুন প্রজন্মকে আমাদের ইতিহাস জানাতে হবে, তাদের মাঝে মাতৃভাষার চর্চা আরো বাড়াতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত বসু বলেন: আমরা চাই আমাদের কোমলমতি শিশুরা বাংলা ভাষাকে আরো জানুক, চর্চা করুক। আর সেক্ষেত্রে প্রবাসী অভিভাবকদেরও ভূমিকা নিতে হবে।