চরমপন্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ থাকলেও আরব দেশগুলোর সঙ্গে নিজেদের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে নতি স্বীকার করবে না বলে জানিয়েছে কাতার।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি বলেন, এরকম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া সমস্যা সমাধানে তিনি কূটনৈতিক দিকটিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং এখানে কোনো সামরিক সমাধান নেই।
চরমপন্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেছে কাতার।
কাতারের আল জাজিরা জানিয়েছে, তারাও সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। টুইটারে এক বার্তায় একথা জানায় তারা। একই সঙ্গে কাতার পরিচালিত টিভিও হ্যাকিংয়ের আশঙ্কায় তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে।
গত ৫ জুন সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইয়েমেন এবং লিবিয়া কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। পরে মালদ্বীপও একই সিদ্ধান্ত জানায়।
জঙ্গিবাদ সমর্থন করে উপসাগরীয় অঞ্চল অস্থিতিশীল করার অভিযোগে দেশগুলো এই সিদ্ধান্ত নেয়।
সেদিন সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, রিয়াদ কাতারের সঙ্গে তাদের স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ সীমান্ত এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসপিএ জানায়, উগ্রপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ থেকে সৌদির জাতীয় নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মিশরও কাতারের সঙ্গে আকাশসীমা এবং সব বন্দর পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কাতারের কূটনীতিকদেরকে দেশ ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়। আবুধাবির অভিযোগ, দোহা জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা এবং বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠনকে সমর্থন, অর্থায়ন এবং গ্রহণ করছে। ইউএই’র রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়্যাম এ কথা জানায়।
অন্যদিকে নিজেদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কাতারের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বাহরাইন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কাতার ‘বাহরাইনের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নড়বড়ে করে দিচ্ছে কাতার এবং এর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে।’
ইয়েমেনের হাউদি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট থেকেও কাতারকে বের করে দেয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কাতারের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসবাদকে শক্তিশালী করে। এছাড়া আল-কায়েদা ও আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনকে মদদ দেয়া এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগও তোলা হয়েছে দেশটির বিরুদ্ধে।