ফুটবল খেলাটার জন্মদাতা তারা! বিশ্ব ফুটবলের সেরাগুলোর মধ্য সবচেয়ে জমজমাট তাদের প্রিমিয়ার লিগ। এত আয়োজন আর বিনিয়োগের পরও ইংল্যান্ড শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছে সেই ১৯৬৬ সালে। যে দলে ছিলেন জেফ হার্স্ট-ববি চার্লটনের মত ফুটবলাররা। আর এবার অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ। এটাও বলে রাখা ভাল যে, ইংল্যান্ড এবার অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপও জিতেছে।
যোগ্যতা বা মানের দিক থেকে দুটি বিশ্বকাপের আকাশ-পাতাল তফাত। তবু তুলনাটা চলে আসছে প্রভাবের দিক থেকে। ৬৬-এর পর ইংল্যান্ডের ফুটবলে এটাই সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ জয়। এই জয়কে হাতিয়ার করে নতুন স্বপ্ন দেখতেই পারে ইংলিশরা। বিশেষ করে দুবার পিছিয়ে পড়েও ৫-২ ব্যবধানের জয় সেই স্বপ্নটাকে আরও বড় করে দিচ্ছে। যে স্বপ্নের সারথি হতে পারে বড়রাও।
বড়দের বিশ্বকাপ বা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ফুটবল নিয়ে ইংল্যান্ডের প্রচার-প্রচারণা শুধু ইউরোপ নয়, পুরো বিশ্বকেই ছাড়িয়ে যায়। তাদের মিডিয়ার প্রচারণায় এক-একজন ফুটবলার হয়ে ওঠেন ফুটবলের বাঘ। কিন্তু ১৯৬৬ সালের পর থেকে প্রতিটি আসরে ব্যর্থ হয়েছে ইংল্যান্ড। আর খেলোয়াড়দের পেতে হয়েছে ‘কাগজের বাঘ’ উপাধি। তবে শনিবার ভারতে অনুষ্ঠিত ফাইনালের পর সেই কাগুজে বাঘের আসল হয়ে ওঠার আভাস পাওয়া গেল। স্বপ্নের পালে লাগছে হাওয়া।
চ্যাম্পিয়ন হলেও ইংল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ নিয়ে তেমন উত্তাপ এবার দেখা যায়নি। বরং ইংলিশরা এদিনও বেশি ব্যস্ত ছিল ইপিএল নিয়েই। কারণ এদিন খেলা ছিল দুই ম্যানচেস্টার, লিভারপুল, আর্সেনাল ও চেলসির।
ম্যাচের প্রথমে আধাঘণ্টার মতো ০-২ পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। ওই সময়টুকু পর্যন্ত দেখে মনে হচ্ছিল, স্পেনের টিকি-টাকার ইন্দ্রজালে সম্মোহিত হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ইচ্ছাশক্তি, উদ্যোম আর স্কিল- এই তিনটা জিনিসই যে ছিল ইংল্যান্ডের যুবাদের। সেটাই শেষ পর্যন্ত তাদের চ্যাম্পিয়ন করেছে। এখন কাজটা করে দেখাতে হবে ইংল্যান্ড সিনিয়র দলকেও।