৬ ওভার, ২ মেডেন, ৯ রান, ৫ উইকেট। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে আবাহনী লিমিটেডের পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বোলিং। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান দুর্দান্ত গতির বোলিংয়ে। দারুণ সব বাউন্সারের সঙ্গে ছিল সুইংয়ের বৈচিত্র্য। আর তাতে মাঝারি পুঁজি নিয়েও ১৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মাশরাফী-মোসাদ্দেকদের দল।
আবাহনীর দেয়া ২৫২ রানের লক্ষ্যের সামনে দোলেশ্বর গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৫-তে। রয়ে যায় ২০.২ ওভার।
সাইফউদ্দিন কাঁধে চোট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন, সেটি সবারই জানা। আবাহনীর আরেক পেসার রুবেল হোসেন সাইড স্ট্রেইনে চোটের কারণে দলের বাইরে থাকায় সাইফউদ্দিনকে খেলানো ছাড়া উপায় ছিল না দলটির।
চোট সঙ্গী করেই বল হাতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন এ পেস অলরাউন্ডার। সোমবার করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এ তরুণের আগের সেরা বোলিং ছিল ২৬ রানে ৩ উইকেট।
দোলেশ্বরের দুই ওপেনার ইমরান উজ্জামান (০) ও সৈকত আলীকে (১) উইকেটরক্ষক জহুরুল ইসলামের হাতে ক্যাচ বানান সাইফউদ্দিন। এক ওভার পর ফরহাদ হোসেন (১১) ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের হাতে। সাউফউদ্দিনের পরের দুই শিকার মার্শাল আইয়ুব (১) ও সাইফ হাসান (১৩) হন বোল্ড।
শুরুতেই ৫ উইকেট তুলে আর বোলিংয়ে আসেননি সাইফউদ্দিন। সানজামুল ইসলাম দুটি, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য একটি করে উইকেট তুলে নিলে ২৯.৪ ওভারে অলআউট হয় দোলেশ্বর। সর্বোচ্চ ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল হাসান।
সকালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায়নি আবাহনী। ১২ রানের মধ্যে জহুরুল ইসলাম (১), মেহেদী হাসান মিরাজ (৫), সৌম্য সরকারকে (২) সাজঘরে পাঠান আবু জায়েদ রাহি ও ফরহাদ রেজা মিলে।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় আবাহনী। ভারতীয় রিক্রুট ওয়াসিম জাফর (৭১) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৭০) প্রতিরোধ গড়ে বিপর্যয় এড়ায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ১৪৬ রানের জুটি তাদের দেখায় আড়াইশর পথ। মোহাম্মদ মিঠুনের ৪১ ও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ২৪ রানের ইনিংসে এক ওভার আগেই অলআউট হওয়ার আগে আবাহনী তোলে ২৫১।
আবু জায়েদ নেন তিন উইকেট। ফরহাদ রেজা ও সাইফ হাসান নেন দুটি করে উইকেট। আরাফাত সানি নেন একটি উইকেট।