পচা শামুকে পা কাটার মতোই ব্যাপারটা। প্রিমিয়ার লিগে টানা নয় ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে মাটিতে নামিয়ে আনল পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। সবার আগে সুপার লিগ নিশ্চিত করা দলটিই কিনা ১২৭ রানে হেরে বসল এই ম্যাচের আগে মাত্র দুটি জয় পাওয়া দলটির বিপক্ষে। হারের পরও অবশ্য শীর্ষেই থাকছে গাজী।
ফতুল্লায় ২২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে গাজী অলআউট হয় মাত্র ৯৫ রানে। নিজেদের দশম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে অবনমন শঙ্কা কিছুটা কমাল কলাবাগান।
গাজীর হোঁচটের দিনে ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরী। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলেন সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ১৬ ও শেষদিকে নেমে আবু হায়দার রনি করেন ১১ রান। দলের বাকি কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ৩২.৫ ওভার খেলে একশর আগেই থেমে যান বিজয়-মুমিনুলরা।
গাজীর বাজে ব্যাটিংয়ের দিনে দুটি উইকেট নিয়েছেন অনিয়মিত বোলার তুষার ইমরান। সঞ্জিত সাহা ও সাদ নাসিম নেন তিনটি করে উইকেট। দুটি উইকেট নিয়েছেন পেসার আবুল হাসান রাজু।
খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দশম রাউন্ডের ম্যাচে টস জিতে বোলিং বেছে নেয় কলাবাগান। তাসামুল হকের সেঞ্চুরিতে (১০২) ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান তোলে আশরাফুল-তুষাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে তুষারের ব্যাটে। আশরাফুল আউট হন ১৫ রান করে।
ভারতীয় অফস্পিনার পারভেজ রসুল নেন চারটি উইকেট। হোসেন আলী ও মেহেদী হাসান নেন একটি করে উইকেট। কলাবাগানের তিন ব্যাটসম্যান রান আউটের শিকার হন।