ম্যাচে তখন ঠিক ২৯ মিনিট। মার্কোস আকুনার ক্রসে বল পেয়ে ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার লৌতারো মার্টিনেজ ডি বক্সে ভেতর থেকে ডান প্রান্তে দাঁড়িয়ে বাঁ পায়ের শটে করলেন গোল।
মার্টিনেজের করা এই লক্ষ্যভেদেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে প্রতিপক্ষ কলম্বিয়ার বিপক্ষে একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে লাতিন অঞ্চলের বাছাই উতরে বিশ্বকাপের টিকেট কেটে ফেলা আলবিসেলেস্তেরা টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকল।
বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোরে আর্জেন্টিনার মাঠ এস্টাডিও মারিও আলবের্তো কেম্পাসে হওয়া ম্যাচে করোনা থেকে সেরে উঠে পিএসজির হয়ে নামলেও শারীরিক ধকল এড়াতে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেই লিওনেল মেসি।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ব্রাজিল ১৫ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৩৯ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ৩৫। পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ২৭ পয়েন্ট পাওয়া ইকুয়েডর বিশ্বকাপে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে।
গোটা ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে দাপট দেখানো আর্জেন্টিনা ৫৬ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রাখে। শট নিয়েছে ১৬টি, যার ভেতর লক্ষ্য বরাবর ছিল পাঁচটি। কলম্বিয়া সেখানে পাঁচটির বেশি শট নিতেই পারেনি। লক্ষ্য বরাবর ছিল দুটি।
ফাউলের সংখ্যা আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার ম্যাচে নেহাত কম ছিল না। ২৯ ফাউলের জন্য বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি, দেখিয়েছেন দুই হলুদ কার্ড।
আগের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচেও গোল করেছিলেন মার্টিনেজ। তার সঙ্গে গোলের দেখা পেয়েছিলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। কলম্বিয়ার বিপক্ষেও ডি মারিয়া পেতে পারতেন গোল। তার নেয়া ফ্রি কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক।
বিরতির আগে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মিগুয়েল বোরজার নেয়া শট আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঠেকিয়ে দেন। তাতে স্বাগতিকরা গোল হজম করেনি। কলম্বিয়া হারায় ম্যাচে তাদের সেরা সুযোগ।
৬৪ মিনিটে ডি মারিয়ার নেয়া দূরপাল্লার শট গোলরক্ষক কামিলো ভার্গাস কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। তাই ব্যবধান আর বাড়েনি।