জামায়াতের আমীর যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমার নিজামীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় সন্তুষ্ট তার নিজ এলাকা পাবনার সাথিয়া উপজেলার মানুষ। নিজামীর গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ আর নির্মমতার সাক্ষী তারা ।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা বাস্তবায়নকারী আলবদর বাহিনীর প্রধান জাময়াত নেতা নিজামীর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একাত্তরে পাবনার রূপসী, বাউশগাড়ী ও ডেমরা গ্রামের প্রায় ৪‘শ নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করে রাজাকাররা। ধর্ষিত হয় প্রায় ৪০ জন নারী। সেই সাথে এই এলাকাগুলোতে চলে অগ্নি সংযোগ ও লুন্ঠন।
আপিল বিভাগে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী নিজামীর রায় শুনতে টেলিভিশন সেটের সামনে সকাল থেকে অপেক্ষায় থাকেন পাবনার সাথিয়া এলাকার মানুষ। রায়র শোনার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তারা। মিছিল নিয়ে পাবনার রাস্তায় নেমে আসেন বিভিন্ন সামাজিক ,রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন। আনন্দে বিতরন করা হয় মিষ্টি।
আপিল বিভাগের রায়কে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানায় তারা। তারা বলছে, এ রায় বাস্তবায়ন হলে কলঙ্কমুক্ত হবে পাবনা কলঙ্কমুক্ত হবে বাংলাদেশ।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর নিজমীর মরদেহ পাবনায় না আনার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধাসহ সবশ্রেনী পেশার মানুষ।