চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কর ও শুল্কে রেয়াত সুবিধা কমানো দরকার: এনবিআর চেয়ারম্যান

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে পরিপক্কতা এসেছে মন্তব্য করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এখন আর শিশু অবস্থায় নেই, তাই আস্তে আস্তে কর ও শুল্কে রেয়াত বা অব্যাহতি সুবিধা গুটিয়ে আনা দরকার।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এনবিআর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি করবো। বর্তমানে একটি বিষয় চলমান রয়েছে- কর ও শুল্কে রেয়াত বা অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া। এক্ষেত্রে আমরা শুধু প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এর মেয়াদ বৃদ্ধি করবো। আস্তে আস্তে এ বিষয়টি গুটিয়ে আনা দরকার। কারণ, আমাদের ব্যবসায়ীরা এখন আর শিশু অবস্থায় নেই। সব ক্ষেত্রেই আমাদের পরিপক্কতা এসেছে। একজন যদি রেয়াত চায়, আরেকজন চাইবে। আমি মুখ দেখে কাজ করবো না, কোন অন্যায় প্রশ্রয় দেব না।

তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাওনা রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়ালো ৫০ হাজার কোটি টাকায়। এসব পাওনা আদায়ে বহু মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উপায়ে এসব পাওনা আদায়ের চেষ্টা চলছে।

‘বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা যত্নবান হব। যাদের কাছে পাওনা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করতে হবে। মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৫০ হাজার কোটি পাওয়া যাবে। জোর-জুলম করে রাজস্ব আয় করতে চাই না। ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উপায়ে পাওনা আদায়ে চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে আমি কারো মুখ দেখে কোনো কাজ করবো না।’

সরকারি বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছে এনবিআরে বেশকিছু পাওনা রয়েছে। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের ডিও লেটার দেব। পেট্রোবাংলার কাছে ২২ হাজার কোটি টাকা, প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কাছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট ফি বাবদ ৫৫০ কোটি টাকার বেশি এবং বিটিআরসির কাছে ৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এসব অর্থ উদ্ধারে অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত এসব মামলার নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিদেশের ওপর নির্ভশীলতা কমানো দরকার মন্তব্য করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের লক্ষ্য- আগামী ২০২০-২১ সালের মধ্যে করের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৫ বা এর কাছাকাছি অর্জন করা। বর্তমানে যা ১১ এর কাছাকাছি রয়েছে। তার মানে এই নয় যে, চাপ দিয়ে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি বাড়ানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষ্যে সকালে র‌্যালী ও বিকালে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।