স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোসহ বিভিন্ন দাবিতে ১৩ ও ১৭ সেপ্টেম্বর সবগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন শিক্ষকেরা। অসংলগ্ন মন্তব্যের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বুধবার ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়ার পর অর্থমন্ত্রীর দিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বক্তব্যকে অনভিপ্রেত ও অসংলগ্ন উল্লেখ করে মন্ত্রীকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে আহবান জানায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বুধবার দেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত হওয়ার আগেই শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকারের প্রতি আহবান জানায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এই ইস্যুতে আলোচনায় অর্থমন্ত্রীকে না রাখারও অনুরোধ জানান তারা।
শিক্ষকরা জ্ঞানের অভাবে বেতন কাঠামো নিয়ে আন্দোলন করছেন বলে অর্থমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, এর প্রতিবাদে বুধবার সকালে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে নিন্দা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে অংশ নেন।
শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে অভিহিত করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।
কর্মবিরতির বদলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বেতন সমস্যার সমাধান করতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ১৪ দল।
শিক্ষকদের দাবির মধ্যে আছে, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দ্রুত বাস্তবায়ন, সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপকদের বেতন ও মর্যাদা সিনিয়র সচিবদের সমান করা, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের গাড়ি ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবদ সম্মানজনক অর্থ বরাদ্দ এবং উচ্চশিক্ষার জন্য তরুণ শিক্ষকদের বৃত্তি বা স্কলারশিপ।