কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, গত রাত সোয়া ৩টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ১৫১ জনে। আর আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ জন।
ডিসেম্বরে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। মহামারী হিসেবে এই ভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
করোনার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৭২৬ জন। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৩ হাজার ৯৪১ জন। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩০ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৮৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পরেই করোনার নৃশংসতা চালাচ্ছে ইটালি ও স্পেনে। ইটালিতে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে ৮ শ থেকে ১ হাজার করে মানুষ। গতকালও দেশটিতে করোনায় কেড়ে নিয়েছে ৮৩৭ জনের প্রাণ। আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫৩ জন। ইটালিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ মৃত্যু ইটালিতে, ১২ হাজার ৪২৮ জন।
স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭২৮ জন মানুষের। আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৯৬৭ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৯৫ হাজার ৯২৩ জন।
ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রিয়ায় করোনার আঘাত থেমে নেই। আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটার হারই বাড়ছে।
ইউরোপের অন্যতম সুপার পাওয়ার যুক্তরাজ্যে করোনা ভয়াবহ আঘাত হানছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৮১ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯ জন। যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ১৫০ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৮৯ জন।
যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর হার দ্রুত বৃদ্ধিতে ‘আমরা হতবাক!
নিয়মিত হাসপাতালে রোগীর ধারণ ক্ষমতা না হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে সমুদ্রের জাহাজ, স্টেডিয়াম ও পার্কে অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তুলছে।
গত কয়েকদিন আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান করোনা ভাইরাস নিয়ে অশনি সংকেত দিয়ে বিশ্বকে এই ভাইরাস মোকাবিলায় জোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, শুধু দেশ লকডাউন করাই এই ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এর মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে পরীক্ষা পরীক্ষা এবং পরীক্ষাকে। পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্তদের শনাক্ত করে দ্রুত আলাদা করে ফেলতে হবে।