বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সিটিটিউট অব হেলথের অর্থায়নে ওয়াশিংটনের স্বাস্থ্য গবেষণা ইন্সিটিটিউটে এ প্রতিষেধকের পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যম এপি‘র বরাতে জানিয়েছে গ্লোফ নিউজ।
দেশটির জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্ভাব্য এ প্রতিষেধকের কার্যকারিতা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে এক বছর থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে।
এনআইএইচ এবং মর্ডানা ইনক এর সহায়তায় তৈরি করা ওই প্রতিষেধক ৪৫ জন যুবকের শরীরে বিভিন্ন মাত্রায় প্রয়োগ করে পরীক্ষা শুরু করা হবে।
তবে যাদের শরীরে এই প্রতিষেধক পরীক্ষা হবে, তাদের সংক্রমিত হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই বলেই দাবি করা হচ্ছে।
কারণ এই প্রতিষেধকগুলিতে এখনও ভাইরাস মেশানো হয়নি। এই প্রতিষেধক থেকে মানুষের শরীরে কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখাই এই পরীক্ষার একমাত্র লক্ষ্য। পরবর্তী সময়ে আরও বড় আকারে এই পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পৃথিবার বিভিন্ন দেশেই করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আধুনিক বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কম সময়ের মধ্যে অনেক বেশি কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা।
স্থায়ী প্রতিষেধ তৈরি করতে বেশি সময় লাগায় আপাতত এক বা দু’ মাসের জন্য করোনার সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখার মতো প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের গবেষকরা। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চীন, সাউথ কোরিয়া প্রতিষেধক তৈরিতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। পরে সেটা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ৫১ জন। আর প্রাণ হারিয়েছে ৬ হাজার ৫২৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন ৭৭ হাজার ৭৭৮ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যারা অল্প অসুস্থ তাদের সুস্থ হতে দু’ সপ্তাহের মতো সময় লাগছে। আর বেশি অসুস্থ হয়ে পড়়লে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লেগে যাচ্ছে।