কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৯৪তম দিনে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২১০ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২ জন।
এই সময়ে ১২ হাজার ৩৮৩ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ১২ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। গত ১১ জুলাই সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৪২ হাজার ৪৯০টি নমুনা পরীক্ষায় ১২ হাজার ৩৯৩ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ দুই হাজার ৫৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৭টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৯টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ২৪৫ জনসহ মোট আট লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৩১ জন পুরুষ ও ৭৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৯৭ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৫৭ জন, বেসরকারিতে ৪০ জন) ও বাড়িতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৫২। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৯১৩ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং পাঁচ হাজার ১৩৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩০ দশমিক ১৪ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২১০ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী সাতজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৪ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৯ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১০৭ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে নয়জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৮৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪০ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭ কোটি ২৪ লাখের বেশি।