দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৯৫তম দিনে ৬৬ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৩৮৪ জন।যা দেশ করোনা সংক্রমণের পর সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে, গত বছরের ৩০ জুন করোনায় ৬৪ জনের মৃত্যু হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে সাত হাজার ২১৩। এর আগে চলতি মাসের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ছয় হাজার ৮৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৪ হাজার ৩১১টি নমুনা পরীক্ষায় সাত হাজার ২১৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ দুই হাজার ৮৫১টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৫টি নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৯৬৯ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ৬৪ জন হাসপাতালে ও দুইজনের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা নয় হাজার ৩৮৪। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত সাত হাজার ৪৩ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং দুই হাজার ৩৪১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৬৬ জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী এক জন, ত্রিশোর্ধ্ব দুই জন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৪১ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চার জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন, খুলনা বিভাগে দুই জন, বরিশাল বিভাগে দুই জন ও সিলেট বিভাগে এক জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৩ কোটি ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১০ কোটি ৬৮ লাখের বেশি।