চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনায় নতুন করে গরিব হওয়াদের বিষয়ে পদক্ষেপ কী?

করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনই দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে। বাংলাদেশ গতবছর অর্থনৈতিক মন্দা ভালোভাবে সামাল দিলেও এবার নতুন ধাক্কার কথা সামনে এসেছে।

চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, করোনাকালে আয় রোজগার হারিয়ে দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছেন দেশের অন্তত: দুই কোটি ৪৩ লাখ মানুষ। গরিব মানুষের তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছেন প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, করোনা মহামারিতে এক বছরে কর্মহীন হয়েছে এক কোটি দশ লাখ মানুষ। যাদের মধ্যে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত, শিল্পকারখানা ও অবকাঠামো উন্নয়ন খাতের শ্রমিক ও খুচরা ব্যবসায়ী রয়েছে। এ সময়ে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করা মানুষ ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে।

এই ধাক্কা সামাল দিতে সরকার যে চেষ্টা করেনি বা করছে না তা নয়। এজন্য নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তাসহ বেশকিছু প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে সরকার। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। এমন অবস্থায় সরকারকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ ঋণ সুবিধা দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির পরামর্শ দিয়েছেন উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা। আমরা এ পরামর্শকে সমর্থন করছি।

অন্যদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে দারিদ্রসীমার নীচে বাস করা জনগোষ্ঠিকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এজন্য প্রয়োজন ধনী দরিদ্রের সঠিক তালিকা প্রনয়ণ।

আমরা মনে করি, কোভিডকালে দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাওয়া বিশাল এই জনগোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়নে বেশকিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তবে সরকার আন্তরিকভাবে চাইলে এবং দুর্নীতি রোধ করা গেলে দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাওয়া এই জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন তেমন কঠিন কিছু নয়। এজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।