দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৬৪তম দিনে ৩৬ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩১৩ জন। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৬।
আর নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৭৬ জন। শনাক্তের হার নেমেছে চারে।
গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৮ হাজার ৭৩৬টি পরীক্ষায় এক হাজার ৩৭৬ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার চার দশমিক ৭৯ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ৩০ হাজার ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯১৯টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৫ লাখ ২৭ হাজার ১৫০টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৪২৭ জনসহ মোট ১৫ লাখ ছয় হাজার ১৩৬ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী। তাদের মধ্যে সরকারী হাসপাতালে ৩০ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।এছাড়াও বাসায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৩১৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ২২৯ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৫ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ২৮০ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০১ শতাংশ। বাসায় ৭৭০ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮২। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৫৫৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং নয় হাজার ৭৫৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন, ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন, আশি ঊর্ধ্ব একজন ও নব্বই ঊর্ধ্ব একজন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে দু’জন, খুলনা বিভাগে দু’জন, সিলেট বিভাগে দু’জন, রংপুর বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি তিন লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ লাখ ২৪ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাত কোটি ৭১ লাখের বেশি।