করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আবারও বেড়েছে। কয়েকদিন কমার পর শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে নতুন করে মারা গেছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। সেইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন রোগীর সংখ্যাও।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৪০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের (৫ হাজার ৯৩৯ জন) তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২ হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৬৮ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।দেশটিতে একদিনে মৃত্যু ১ হাজার ২৩৭ জন এবং আক্রান্ত ৮৬ হাজারের বেশি।করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৮৮ লাখ ৩৫ হাজার ২১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩১৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে,সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৪৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৯৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৪ লাখ ৮৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৪৮৪ জন এবং মারা গেছেন ১৬৫ জন। ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭২৯ জন এবং মারা গেছেন ৭২০ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৪ জন।
আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে একদিনে মৃত্যু ৪৩৭ এবং আক্রান্ত ৯ হাজার ২৪৩ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫৮৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।