অবশেষে করোনার কারণে সরকারি অনুদানের নিশ্চয়তা পেয়েছেন প্রদর্শক সমিতির অন্তর্ভুক্ত সিনেমা হলে কর্মরত কর্মচারীরা।
ধাপে ধাপে সিনেমা হলগুলোর কর্মচারীদের দেয়া হবে এই অনুদান। এমনটাই চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিঁয়া আলাউদ্দিন।
করোনাভাইরাসের কারণে ১৮ মার্চ থেকে সারা দেশজুড়ে চালু থাকা সিনেমাহলগুলো বন্ধ হয়ে আছে। চার মাস অতিক্রম করলেও করোনা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বরং দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেউ বলতে পারছেন না, সিনেমা হলের ভবিষ্যত কী! এতে সবচেয়ে বিপাকে আছেন সিনেমা হলে কর্মরত কর্মচারীরা। এদের মধ্যে অনেকেই টানা কয়েক মাস ধরে কোনো বেতনই পাচ্ছেন না।
মিঁয়া আলাউদ্দিন বলেন, করোনায় সিনেমা হলের কর্মচারীদের বর্তমান দুর্দশার কথা তথ্যমন্ত্রণালয়কে জানিয়ে ছিলাম। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের একটি প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, প্রদর্শক সমিতির অন্তর্ভুক্ত সিনেমা হলের কর্মচারীদের অনুদান দেয়া হবে। তবে ধাপে ধাপে। জানানো হয়, প্রথমে প্রতি সিনেমা হলের দুইজন কর্মচারীকে দেয়া হবে অনুদান। এর পরের ধাপে দেয়া হবে বাকিদের।
প্রদর্শক সমিতির এই উপদেষ্টা বলেন, সমিতির অন্তর্ভুক্ত অন্তত ষাটটির মতো সিনেমা হল বর্তমানে রয়েছে।
প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ইতোমধ্যেই নাম সংগ্রহ শুরু করেছি। আশা করছি, মন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিগগিরই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান পাবে কর্মকচারীরা।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্য দিবসেই তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা। করোনার কারণে বন্ধ থাকা সিনেমা হলগুলো খুলবে কিনা এ নিয়ে সংশয় ছিল। কারণ তারা তাকিয়ে ছিলেন সরকারি নির্দেশনার। তবে এদিন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দেন, আসন্ন ঈদে সিনেমা খুলবে না। মূলত করোনার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।