আফগানিস্তানের কাবুলে শিখদের উপাসনালয়ে আত্মঘাতি বোমা ও বন্দুক হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।
বুধবার স্থানীয় সময় সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, ওই উপসানলয়ের ভেতরে তখন প্রায় ১৫০ জনের উপরে মানুষ ছিলেন। তবে হামলার দায় আফগানিস্তানের শীর্ষ জঙ্গি গোষ্ঠি তালেবান অস্বীকার করেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলায় এক শিশু মারা গেছে এবং ১৫ জন আহত হয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দেশটির শিখ এমপি নরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, তার কাছে চারজন লোক নিহত হওয়ার তথ্য আছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছে। বুধবার সকালে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের শোর বাজার এলাকার ধরমশালায় এই ভয়ঙ্কর হামলা চালানো হয়।
জানা গেছে, এলাকাটিতে মূলত হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায় বসবাস করেন। আত্মঘাতী হামলাকারী শোরবাজার এলাকায় ঢুকে পড়ে উপাসনালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেয়। তার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র গুলির লড়াই চলে।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র তারিক আরিয়ান জানান, গোটা জায়গাটি ঘিরে ফেলে পাল্টা গুলি চালায় দেশের নিরাপত্তা বাহিনী।
বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে, সেই সময় এই ধরণের সন্ত্রাস হামলা ‘নারকীয় মানসিকতার পরিচয়’ বলে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। এক টুইটে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে ওই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক।’
তিনি হামলার নেপথ্যে থাকা দোষীদের খুঁজে বের করতে এবং শিখদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে আহ্বান জানিয়েছেন।