করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার নতুন রূপ দেখছে ব্রাজিল। দেশটিতে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। ব্রাজিলের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আইসিইউ এখন রোগী দিয়ে পূর্ণ।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনে রক্ত জমাট বেঁধে মৃত্যুর আশঙ্কায় ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ড। অস্ট্রিয়াতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় একজনের মৃত্যুর পর, ওই একই চালানের ভ্যাকসিন নেয়া এক নারীর ডেনমার্কে মৃত্যু হলে ওই সিদ্ধান্ত আসে।
ইটালিতেও ভ্যাকসিন নেয়া এক ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তির রক্ত জমাট বেঁধে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণের ফলে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো প্রমাণ মেলেনি বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সংক্রমণ রোধে মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে পর্তুগাল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপিন্সে। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বর্তমানে সারাবিশ্বে ১১ কোটি ৯১ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত আর প্রাণ হারিয়েছে ২৬ লাখ ৪১ হাজার মানুষ।