করোনাভাইরাস বিশ্ববাপী ব্যাপক তাণ্ডব অব্যাহত রেখেছে। এরই মধ্যে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার। তবে করোনাভাইরাসে যতো মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে, দুর্ভিক্ষের কারণে তার দ্বিগুণ মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
বিশ্ব সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলছে, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্ব বড় রকমের দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা বেড়ে যাবে। আর এই মন্দায় ভুগতে থাকা সংখ্যাটি ১৩৫ মিলিয়ন থেকে ২৫০ মিলিয়নেরও বেশি হয়ে যেতে পারে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এই তথ্য তুলে ধরে বলছে, বিভিন্ন যুদ্ধ-সংঘাত, অর্থনৈতিক সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ দেশ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিবিসি বলছে, সংস্থাটির চতুর্থ বার্ষিক গ্লোবাল প্রতিবেদনে ইয়েমেন, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, আফগানিস্তান, ভেনেজুয়েলা, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া, নাইজেরিয়া এবং হাইতির নাম উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ সুদানের ৬১ শতাংশ জনগণ গত বছর খাদ্য সংকটে আক্রান্ত হয়। মহামারীর আগেও পূর্ব আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে খরা এবং পঙ্গপালের আক্রমণে খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
বিশ্ব মহামন্দার আশঙ্কা করে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রধান ডেভিড ব্যাসলি বলেন, বিপর্যয় এড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বিশ্বকে বুদ্ধি ও কৌশলের সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং দ্রুত কাজ করতে হবে। সত্যি আমাদের হাতে কোনো সময় নেই।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা দক্ষতা ও বুদ্ধির সঙ্গে সম্মিলিত উপায়ে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে যেন খাদ্য সংকট না হয়, তা এড়িয়ে যেতে পারি।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোমবার যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তাতে সত্যিই বিশ্ব মহামন্দার মুখোমুখি হয়ে যেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস করুন। চরম বিপর্যয় আসা এখনো বাকি।’