ফ্রান্সে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত একদিনে দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৫৬১ জন, যা তার আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার বেশি। দু’দিন আগে সংখ্যাটি ছিলো ৯ হাজার ৪০৬ জন।
বিবিসি বলছে, ফ্রান্সে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ও আইসিইউ’তে রোগীর চাপ বেড়েছে।
এই সময় ব্যক্তিগত যোগাযোগ বন্ধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, গ্রীষ্মে মানুষের চলাচল ও ভিড় বেড়ে যাওয়ার ফলে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেছে।
গবেষকদের ধারণা, একটি কক্ষে যত বেশি লোক থাকে তত কম বাতাস চলাচল করতে পারে, এতে করোনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম যেখানে নতুন করে করোনা সংক্রমণ দেখা গেল।
গত মার্চ মাসে আরোপিত লকডাউন শিথিল করার পর থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হয় এবং ক্রমাগত বেড়ে যায়। গত মাসে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
গত শনিবার ফ্রান্সে ২ হাজার ৪৩২ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে যা শুক্রবারের চেয়ে ৭৫ জন বেশি, তাদের মধ্যে ৪১৭ জনকে আইসিইউ’তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
ফ্রান্সে মহামারির শুরু থেকে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে লাখ ৭৩ হাজার ৯১১ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার ৯১০ জনের।
ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ ৪২টি অঞ্চলকে রেড জোন ঘোষণা করে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মানুষের চলাচল সীমিত করে দিয়েছে।