দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৭৪তম দিনে নতুন করে ২ হাজার ২১১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৭ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ জন।
শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন করে ১৩ হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৪১টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৫ লাখ ১৪ হাজার ১২৬টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ২ হাজার ২১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৯৪ জন। মোট সংক্রমণের শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৭ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ১৭৪ এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৩৭৮ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মৃত ৪৭ জনের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী। মৃতদের মধ্যে হাসপাতালে ৪৪ জন ও বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৩ হাজার ২৭৪ জন এবং ৯০০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৮ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ কোটি ৭১ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।