দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৪৮তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২২ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৮৬ জন।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২১৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু সহ পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৮৪টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৮৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জন। মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ১৫৪-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৬ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
ডা. নাসিমা বলেন, বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ৯ জন এবং সত্তরোর্ধ্ব দুইজন রয়েছেন।
একদিনে মোট করোনায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন এবং রংপুর ও সিলেট বিভাগের একজন রয়েছেন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৭ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ কোটি ১১ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।