দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে এখনপর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আক্রান্ত হিসেবে নতুন আরও ৩৪১ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে দুই হাজার ১৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৬ হাজার ৮৮৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৪১ জন। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৭২ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১০ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৬০।
যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকায় সাতজন ও ঢাকার বাইরে তিনজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী তিনজন, ষাটোর্ধ্ব পাঁচজন এবং সত্তরোর্ধ্ব একজন রয়েছেন।
বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় এক লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৪ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। রোববার এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পরে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।