করোনাভাইরাস চিকিৎসায় গবেষকরা হয়তো আশার আলো দেখছেন। জিলেড নামের একটি আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধ রেমডিসিভির নিয়ে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় বেশ আশাবাদী।
তাদের ধারণা, এতে করোনা রোগীর সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এখনও করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কোনো ওষুধের অনুমতি দেয়নি। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক খবরে বলা হচ্ছে, শীঘ্রই এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ট্রায়াল রান দিয়ে অর্থাৎ রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিক যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে তিনি আশাবাদী।
জিলেড যদিও কোন তথ্য-প্রমাণ দেয়নি। তবে তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এ্যালার্জি এ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস- এর চালানো এক পরীক্ষা বা ট্রায়াল রানের পর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে এবং তাদের এই পরীক্ষা ‘প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে।
ইবোলা রোগের চিকিৎসার জন্য এই অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধটি তৈরি হয়েছিল।
জিলেডের মতে, রেমডিসিভির যত আগে আগে দেয়া যায় ততই কার্যকর। তারা বলছে, আগেভাগেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এমন শতকরা ৬২ ভাগ রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। আর যেসব রোগীকে দেরিতে দেয়া হয়েছে তাদের শতকরা ৪৯ ভাগ হাসপাতাল ত্যাগ করেছে।
অবশ্য এ ঘোষণার আগে বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যান্সেট চীনে রেমডিসিভিরের একটি পরীক্ষার ফল উদ্ধৃত করে জানায় যে এতে কাজ হয়নি, তবে এ জরিপ সম্পূর্ণ হয়নি কারণ তখন যথেষ্ট রোগী ছিল না।
গবেষকরা বলছেন, সিদ্ধান্তে আসতে আরও বেশি কাজ দরকার। প্রাথমিক পরীক্ষণে দেখা গেছে এই ওষুধ করোনাভাইরাস চিকিৎসার সময় ১৫ থেকে ১১ দিনে নামিয়ে আনে।
ফাউসি বলেন, ৩১ শতাংশ উন্নয়ন মানেই কিন্তু ১০০ শতাংশ নয়। কিন্তু এটি ধারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এই ওষুধ ভাইসরাসটিকে আটকে দিতে পারে।
বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৯০ জন প্রাথমিক পরীক্ষণে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে রেমিডিসিভির নিয়ে মন্তব্য করা এখন খুব দ্রুত হয়ে যাবে।