প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই সাবধান করেছেন, বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও শীতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে। সাবধান করার পাশাপাশি দেশবাসীকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। এখন যদিও এই সময়ে করোনার সংক্রমণ খুবই কম, মৃত্যুও আগের তুলনায় কমেছে।
এরইমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে এটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং এর আশপাশে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর বৃষ্টিপাত মানেই শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা গত কয়েকমাসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। নতুন করে সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে ভ্যাকসিন কর্মসূচির পাশাপাশি। আমাদের দেশেও সেই ধারা বজায় রাখা উচিত।
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬১৩তম দিনে ২ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯০৬ জন। আর শনাক্তের হার এক দশমিক ৩১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২৩৫ জন। করোনার পরিসংখ্যান দেখে পরিস্থিতি সর্ম্পকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। আর আশার কথা হচ্ছে, বহু মানুষ আক্রান্ত হবার পাশাপাশি দ্রুত সুস্থ হয়েছেন। আর ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় এসেছেন দেশের কর্মজীবী মানুষের বিরাট অংশ। শিক্ষার্থীরাও আসতে শুরু করেছে ভ্যাকসিন সুরক্ষায়।
শীতকালে সাধারণত মানুষের সর্দি-কাশি-জ্বরের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি দেখা দেয়। করোনার উপসর্গের সঙ্গে ওইসব মৌসুমী রোগ মানুষের উৎকণ্ঠা তৈরি করে। শীতের মৌসুমি অসুখ ও ডেঙ্গুজ্বরেও পড়ছেন অনেকে। গতবছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শীতের শুরুতে অনেকে করোনা আক্রান্ত হবার পাশাপাশি শীতের কারণে তাদের কষ্ট ও মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল। এই বিষয়ে সবাইকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করার পাশাপাশি করোনার স্বাভাবিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত নিজের ভালোর জন্য।