নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে চালু হওয়া ভ্যাটের বোঝা কমাতে সৌদি আরবে সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে।
দেশটিতে অধিকাংশ পণ্য এবং সেবার ক্ষেত্রে এখন থেকে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য ও ইউটিলিটি বিল।
সৌদি আরবে বসবাসের ক্ষেত্রে আগে কোন ধরনের ভ্যাট দিতে হতো না। কিন্তু তেলের দাম কমে যাওয়ার কারণে অন্যান্য সূত্র থেকে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় দেশটি।
সেই সঙ্গে বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দামও। স্থানীয়ভাবে পেট্রোলের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্র যেসব ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেয় সেগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে কমিয়ে এনেছে।
বিবিসি জানায়, দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ দেশের সরকারি চাকরিজীবীদের মাসিক বেতন ১ হাজার রিয়াল (২৬৭ ডলার) বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সৌদি রাজকীয় ডিক্রিতে আরও জানানো হয়, সরকারি চাকরিজীবীদের মতো সৈন্যদের বেতনও ১ হাজার রিয়াল বেড়েছে। সেই সঙ্গে ইয়ামেন সীমান্তে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ৫ হাজার রিয়াল করে বোনাসও দেওয়া হচ্ছে।
সৌদি আরবের মোট কর্মীর দুই-তৃতীয়াংশই সরকারি খাতের। সরকারি ব্যয়ের ৪৫ শতাংশই যায় তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে পেশনভোগীদের এই বছর প্রতি মাসে ৫০০ রিয়াল করে অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার ঘোষণাও বাদশাহ দিয়েছেন।
বেসরকারি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার সুবিধাভোগী নাগরিকদের অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়। এছাড়া প্রথমবার বাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও ভ্যাটে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাদশাহ সালমান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতও প্রথমবারের মতো নতুন বছর থেকে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট চালু করেছে।
তেল বিক্রি ছাড়া অন্য কোন উপায়ে সরকারের আয় বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল দীর্ঘ দিন ধরেই উপসাগরীয় দেশগুলোকে পরামর্শ দিয়ে আসছে।
এখন তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসতেই এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে সৌদি সরকার।
সৌদি আরবে মোট বাজেটের ৯০ শতাংশের বেশি আসে তেল বিক্রি থেকে।