ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের কর হার হ্রাস এবং ব্যয় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান আড়াই লাখ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে তা ৩ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে করোনাভাইরাসের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গত অর্থবছরের আড়াই লাখ টাকা থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করলে কোনো কর দিতে হবে না- বাজেটে এমন প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আর নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতাদের সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো কর দিতে হবে না। প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে এই সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকায় রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকার পর প্রথম ১ লাখ টাকায় ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৩ লাখ টাকায় ১০ শতাংশ, এরপরের ৪ লাখ টাকায় ১৫ শতাংশ, এরপরের ৫ লাখ টাকায় ২০ শতাংশ। অবশিষ্ট টাকার উপর ২৫ শতাংশ হারে কর পরিশোধের প্রস্তাব করা হয়েছে।