নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কথিত ‘বড় ভাই’র নির্দেশেই লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় অংশ নিয়েছিল সোহেল। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্যই জানান তিনি।
রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে অভিযান চালিয়ে মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (৩৪)কে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান (মিডিয়া) চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান সোমবারই সোহেলকে রিমান্ড আবেদনের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সিটিটিসি’র একটি সূত্র চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত জানিয়েছে, গ্রেফতার সোহেল ব্লগার অভিজিৎ হত্যার আসামি ও আনসার আল ইসলামের ইন্টেলিজেন্স শাখার একজন সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সোহেল জানান, সংগঠনের বড় ভাইয়ের নির্দেশে এবং পরিচালনায় তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে অভিজিৎ রায়কে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা আহত হন। দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলের আশপাশের ৭টি ভিডিও প্রকাশ করে পুলিশ।
এতে দেখা যায়, অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী বন্যা আহমেদ বইমেলার মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পর বিভিন্নভাবে তাদের অনুসরণ করছিল ৬ সন্দেহভাজন হত্যাকারী। সোহেল তাদের মধ্যে অন্যতম বলে দাবি করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।