কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট শেষ হবে বিকাল ৪টায়।
প্রথমবারের মতো রংপুর সিটিতে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ১৯৩টি কেন্দ্রে এসব ভোটার ভোট দেবেন।
বেশির ভাগ (১২৮টি) ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও আমর্ড পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন রয়েছে। এছাড়াও বিজিবি ও র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে।
প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিরোধীদল জাতীয় পার্টি, বিএনপিসহ এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রয়েছে ৭ জন। ২১১ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৬৫ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও বিএনপির কাওসার জামান বাবলা। সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু গত এক মেয়াদে রংপুর সিটির মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মেয়র পদপ্রার্থী। আর গত নির্বাচনে ঝন্টুর কাছে হেরে যাওয়া মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবারও জাতীয় পার্টি থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপি প্রার্থী এবারও কাওসার জামান বাবলা প্রথম নির্বাচনে চতুর্থ অবস্থানে ছিলেন।
বাকি চারজন মেয়র প্রার্থী হলেন: বাসদের আবদুল কুদ্দুস (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম আখতার (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (হাতি)।
রংপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন করার পর এবার চলছে দ্বিতীয় নির্বাচন। ২০১২ সালের ২৮ জুন সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয় রংপুর পৌরসভা। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথম নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও এবার মেয়র পদে ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে।