যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বর্ণবাদ, ফ্যাসিবাদ এবং অতি-ডানপন্থা বিরোধী মিছিলে কট্টর শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ সমর্থকদের হামলার ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের নমনীয় বক্তব্য সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। কট্টর ডানপন্থীদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট করে কিছু না বলে বিতর্কের জন্ম দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শনিবার, শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের ডাকা ‘ইউনিয়ন দ্য রাইট’ নামের এক সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। কট্টর শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদের সমর্থকদের সঙ্গে এই মতবাদের বিরোধীদের সংঘর্ষ হয়। পরে বর্ণবাদী এক সমর্থকের গাড়ি হামলায় অনেকেই গুরুতর আহত হন। এঘটনায় তিনজন নিহত ও কমপক্ষে ১৯ জন আহত হন।
সেই গাড়ির চালক জেমস ফিল্ডসকে (২০) ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে অপরিকল্পিত হামলা বা ‘সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার’-এর অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশ।
সহিংসতা ছড়িয়ে পরার পর এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, এই ঘটনা বহুপক্ষের ঘৃণা, ধর্মান্ধতা আর সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ। পাশাপাশি বিভাজন আর বিদ্বেষ বন্ধের আহ্বানও জানান তিনি।
কিন্তু প্রেসিডেন্টের এই বার্তায় চরম ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের স্পষ্ট করে অভিযুক্ত করা হয়নি বলে দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন ডেমোক্রেট আর রিপাবলিকান নেতা।
রিপাবলিকান সিনেটর কোরি গার্ডনার তার টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে, অবশ্যই অশুভকে তাদের নাম ধরেই ডাকা উচিত।
শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদেরকে ‘ঘরের সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেন তিনি। গার্ডনারের বক্তব্যকে মার্কো রুবিও এবং টেড ক্রজের মতো অনেক সিনিয়র রাজনীতিকই সমর্থন করেছেন। প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেন বহু ডেমোক্রেট নেতারাও।
এমনকি ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প পর্যন্ত এক টুইট বার্তায় শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী আর নব্য নাৎসীবাদীদের বর্ণবাদ ছড়ানোর জন্যে দায়ী করেন।
প্রেসিডেন্টের এমন সমালোচনার জবাবে হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র বলেন, ট্রাম্প খুব দৃঢ়তার সাথেই সব ধরনের সহিংসতার বিপক্ষে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। অবশ্যই এর মধ্যে শ্বেতাঙ্গ চরম ডানপন্থী, কেকেকে বা নব্য নাৎসীবাদের মত সব চরমপন্থীরাও রয়েছে।
এই বিতর্কিত সমাবেশের অন্যতম আয়োজক জ্যাসন কেসলার একটি সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা করেন। তিনি পুলিশকে সময়মতো এগিয়ে না আসার জন্যে দায়ী করেন। তবে তীব্র প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের মুখে কেসলারের সংবাদ সম্মেলনটি পন্ড হয়ে যায়।