চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে ‘ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’ চালু

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কের আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাগরের গর্জন এবার বাসে বসে শুনতে পাবে এখানে আগত পর্যটকরা । আগত পর্যটকদের সেই বাড়তি সুবিধা দিতে ‘অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’ নামে নতুন বাস সার্ভিস চালু হয়েছে।

বুধবার দুপুরে এ পর্যটক বাস সার্ভিসটির উদ্ধোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী।

অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যানের কর্মকর্তারা জানান, ‘অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’ নামে নতুন বাস চলবে এ সড়ক দিয়ে, যা দেশের কোনো পর্যটক স্পটে প্রথম। প্রতিদিন সকাল ৯টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে ছেড়ে যাবে ছোট একটি বাস। পরে রেজুখাল ব্রীজ গিয়ে ছাড়বে বাসটি। টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ের জিরোলাইন ঘুরে আবার কক্সবাজার ফিরে আসবে বাসটি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ১০ বন্ধুর উদ্যোগে এক কোটি টাকা ব্যয়ে চালু হয়েছে এ বিশেষ ছাদখোলা দোতলা বাস। এসব শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পড়াশোনা শেষ করে বেরিয়েছেন। তাদের মধ্য তিনজন এখনো পড়াশোনায় রয়েছেন। পাশাপাশি এ বাস সার্ভিসটি পরিচালনা করবেন। কয়েকটি কাউন্টার ছাড়াও ওয়েবসাইটেও ( www. aquaholic.com.bd) এ বাসের টিকিট ক্রয় করা যাবে।

অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভানের ব্যবস্থপনা পরিচালক তানজীল আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাস একটি। আসন সংখ্যা উপরে ৩৬টি, নিচে ১২টি। প্রতিদিন রেজুখাল ব্রিজ এলাকা থেকে ছাড়বে। ছোট বাসে করে কলাতলী মোড় থেকে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে ওই এলাকায়।

আরেক পরিচালক ইমরান খাঁন বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের সৌন্দর্য উপভোগের পর্যটকদের সুবিধার্থে আমরা ১০ বন্ধু মিলে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি কক্সবাজারের পর্যটনে এটি অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।

মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটনের প্রসারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বাস সার্ভিস চালু আছে। এ বাসের বিশেষত্ব হচ্ছে ছাদ খোলা। পর্যটকেরা বিনোদনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারে। আর মেরিন ড্রাইভ হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে। এই সড়কটির দু’পাশের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের প্রসারের জন্য মূলত এ উদ্যোগ।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী বলেন, পর্যটন সম্প্রসারণে এ বাসটি ভুমিকা রাখবে। এ কারণেই সব সময় বাসটি পরিচালনায় সহযোগীতা করবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, এই সেবার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের আরো প্রসার ঘটবে। পর্যটন রিলেটেড এরকম সার্ভিস চালু করতে জেলা প্রশাসন থেকে সব সময় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম মেরিন ড্রাইভ সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। ছোট পরিবহণে ভ্রমণ করতো আগত দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। দেশের প্রথম ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যানের যাত্রার মাধ্যমে নতুন মাইল ফলকের উম্মোচন হলো।