চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘কওমি জননী’ উপাধিতে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। রবিবার (৪ নভেম্বর) শোকরানা মাহফিলে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন এ উপাধি দেন।

রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমমান করায় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানাতে ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে এ উপাধি দেয়া হয়।

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা আপনি স্বীকৃতি দিয়েছেন, সবকিছু উপেক্ষা করে। যারা এই কওমীদের মাথা কেটে দিয়েছিলো, তাদেরকে আপনি আবার জোড়া লাগিয়ে বলেছেন যে, তাদের মাথা আমি ধড়ের সঙ্গে লাগিয়ে দিলাম। অনেক অনেক বিব্রতকর প্রশ্ন আপনাকে সহ্য করতে হয়েছে। জবাব দিতে হয়েছে। এই ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জননীর ভূমিকা আপনি পালন করেছেন। আজকে আমি এই মহা কওমি সমুদ্রে আমি ঘোষণা করতে চাই, আপনি কওমি জননী। আজ থেকে আপনাকে এ উপাধি দিলাম। আপনার মাতৃত্বের ভূমিকা মায়ের ভূমিকা না থাকলে এ দেশের বিরোধী যারা আছে, সাহাবাদের শত্রু, ওলামা একরামের শত্রু, বাংলাদেশের শত্রু, জামাত-মওদুদীবাদীরা এ দেশে (স্বীকৃতি) তা হতে দিত না।’

সম্প্রতি সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমমানের স্বীকৃতি দেয়।

২৭ অক্টোবর বেফাক কার্যালয়ে শুকরিয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা ঘোষণা দেন হাইয়াতুল উলিয়ার নেতারা।

সেই ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের কওমিপন্থী ৬টি বোর্ড নিয়ে গঠিত আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশের (হাইয়াতুল উলিয়া) শুকরিয়া মাহফিল হয়েছে আজ।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের সমমান দিয়ে ‘কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল, ২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়।