আফিফ হোসেন ধ্রুব টি-টুয়েন্টি দলে এখন নিয়মিতই থাকছেন। সুযোগ পাচ্ছেন সেরা একাদশেও। খেলেছেন বাংলাদেশের সবশেষ ৯ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে। তাতে অবশ্য সব পাওয়া হচ্ছিল না। তরুণ অলরাউন্ডার আশায় ছিলেন ওয়ানডে দলেও একদিন ডাক আসবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আফিফের অপেক্ষা থেমেছে। ব্যাটিং অলরাউন্ডার আছেন টাইগারদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে। ম্যাচের ভেন্যু সিলেট রওনা হওয়ার আগে আফিফ জানিয়ে গেলেন রোমাঞ্চ ও লক্ষ্যের কথা।
‘অনেকদিন থেকেই অনুভব করছিলাম, টি-টুয়েন্টি খেলছি, ওয়ানডেতে কবে ডাক পাব। আশাটা পূরণ হয়েছে। চেষ্টা করব দলের জন্য ভালো কিছু করার।’
এক টেস্টের সিরিজ ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ। আফিফ সেই প্রত্যাশা পূরণের সম্ভাবনা দেখছেন ভালোভাবেই।
‘আমাদের সেরা ক্রিকেট খেললে অবশ্যই হোয়াইটওয়াশ সম্ভব। সুযোগ হলে সেরা পারফরম্যান্স করার চেষ্টা থাকবে। দল যে পরিকল্পনা করবে, যে দায়িত্ব আমাকে দেবে, সে অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব।’
টি-টুয়েন্টিতে আফিফের ব্যাটিং পজিশন ছিল একটু নিচের দিকে। স্লগ ওভারে অল্প বলে বেশি রান করার দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। ৫০ ওভারের ম্যাচে সময় নিয়ে ব্যাটিং করার সুযোগ থাকবে। আফিফ অবশ্য মনে করেন খেলার ধরণ নির্ভর করবে যে পজিশনে ব্যাট করবেন সেই অনুযায়ী।
‘সেটা (সময় নিয়ে ব্যাটিং) নির্ভর করে ব্যাটিং অর্ডারের উপর। যদি উপরে ব্যাট করি তাহলে অবশ্যই সময় নিয়ে খেলা যাবে। নিচে খেললে দল যখন যেটা চাইবে সেই অনুযায়ী খেলব। সুযোগ পেলে প্রতি ম্যাচ ধরে ধরে মনোযোগ দিয়ে খেলার চেষ্টা করব।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজেই চোট কাটিয়ে ফিরছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। দেশসেরা অধিনায়কের ফেরা স্বস্তি দিচ্ছে দলকে। তবে প্রতিপক্ষকে হোয়াইওয়াশ করার লক্ষ্য না আবার চাপ তৈরি করে ফেলে খেলোয়াড়দের মনে। আফিফ অবশ্য মনে করেন না চাপের কিছু আছে।
‘বাড়তি চাপ কাজ করে না। আমাদের দল ভালো দল। মাশরাফী ভাইও ফিরছে। সবমিলিয়ে আমাদের খেলা খেলতে পারলে ভালোই হবে।’
টি-টুয়েন্টি দিয়ে আফিফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। অভিষেকের পর অবশ্য দেড় বছর বাইরে ছিলেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফেরেন আবারও।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের মুখ থেকে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফিফটিতে বাংলাদেশকে পাইয়ে দেন অবিশ্বাস্য এক জয়। তারপর থেকেই টি-টুয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে ওঠেন। সিলেট থেকে শুরু হচ্ছে তার নতুন পথে অভিযান।