সিলেট থেকে: গোধূলি বেলায় জাদুকরী বোলিংয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মিরপুরে। শেষ ওভারে ৯ রান ডিফেন্ড করে রাজশাহী কিংসকে এনে দিয়েছেন দারুণ এক জয়। রাত পোহাতেই নিজের এমন কীর্তি যেন ভুলে গেছেন মোস্তাফিজুর রহমান! সোমবার সিলেটে এসে রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে কোনভাবেই রাজী করানো যাচ্ছিল না এ বাঁহাতি পেসারকে।
এমনিতেই কম কথা বলার মানুষ মোস্তাফিজ। ক্যামেরা-রেকর্ডার সামনে থাকলে আরও বেশি করে গুটিয়ে নেন নিজেকে। কথা বলতে তাকে রাজী করানোও কঠিন কাজের একটি। প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও রোববারের ম্যাচে শেষ ওভারের বোলিং নিয়ে মোস্তাফিজের ব্যাখ্যা শোনার আগ্রহ তাই থেকেই গেল সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আসা সাংবাদিকদের।
প্রথমে দলের মিডিয়া ম্যানেজার ও পরে ম্যানেজার মোস্তাফিজকে অনুরোধ করলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য। কিন্তু তাতেও সাড়া মেলেনি। পাল্টা অনুরোধ ফিজের, প্লিজ আজ কথা বলতে চাই না।
পরে অনেক চাপাচাপির শেষে ম্যাচজয়ী সেই ওভারটি নিয়ে কাটার মাস্টারের মুখ থেকে বের হল কেবল দু’লাইন, ‘আমি কোনো চাপই নেইনি। সবাই হয়ত টেনশনে ছিল, কিন্তু আমি অতকিছু ভেবে বোলিং করিনি।’
আবির্ভাবের পর থেকেই একের পর এক বিস্ময় জাগিয়ে চললেও মোস্তাফিজের কাছে সবই যেন ‘সাধারণ ঘটনা’। দুই ম্যাচে হারের পর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে চাঙা হয়ে উঠেছে রাজশাহী। ফুরফুরে মেজাজে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সোমবারের অনুশীলন সেরেছে পদ্মাপাড়ের দলটি।
অথচ যার নৈপুণ্যে দলের মাঝে ‘প্রাণ’ ফিরল, সেই মোস্তাফিজ নিজেকে গুটিয়ে রাখলেন মাঠ-মাঠের বাইরে পর্যন্ত। দলের অন্যরা যখন মাঝমাঠে ফুটবল খেলতে মত্ত, অবুঝ বালক হয়ে মোস্তাফিজ তখন সাইডলাইনে চেয়ার পেতে বসে রইলেন ম্যাচের দর্শক হয়ে।
মাঘ মাসের প্রথম দিনের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে আলসে দিন পার করা মোস্তাফিজকে কালই নামতে হচ্ছে সিলেট পর্বের লড়াইয়ে। মঙ্গলবার তাদের প্রতিপক্ষ বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানস।
আরব আমিরাতে পাকিস্তান দলের খেলা থাকায় কিংসের ডেরা ছেড়ে চলে গেছেন পাকিস্তানি মোহাম্মদ হাফিজ। আর শক্তি বেড়েছে টাইটানসদের, যোগ হয়েছেল শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।