ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশীর পরিবারে শোকের মাতম। নিহত তিনজনের দুজন সহোদর ভাই ও একজন মামা। নিহতদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে। নিহতদের লাশ ফেরত পেতে সরকারের সহযোগিতা চান স্বজনরা।
পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ৪ বছর আগে ধার-দেনা করে বড় ছেলে মাসুদ আলমকে চাকরির উদ্দেশ্যে ওমানে পাঠান কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের হতদরিদ্র সাহাব উদ্দীন খলিফা। এর মধ্যে একবার দেশে এসে মাসুদ আলম কয়েক মাস পরিবারের সাথে কাটিয়ে ফের বিদেশে চলে যায়। গত বছরের আগস্ট মাসে ছোট ভাই জুয়েলকেও নিয়ে যায় নিজের কাছে। এর দুই মাস পর মামা জসিম উদ্দিনকেও ওমানে নিয়ে তিনজনেই প্রাইভেটকারের চালক হিসেবে চাকরি করতেন।
পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন গেল তিন জনেরই। স্বপ্ন ছিল তারা চাকরি করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে। মা-বাবা ভাই বোনসহ সবার মুখে হাসি ফোটাবে। কিন্তু তা আর হলো না। সড়ক দুর্ঘটনায় তরতাজা তিনটি প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ায় তাদের সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। গত মঙ্গলবার রাতে ওমানের মিজুয়া থেকে প্রাইভেটকার যোগে মাসকেটের সালালাহ যাওয়ার পথে প্রাইভেট কার ও ট্রলির মুখোমুখি সংর্ঘষে দুই সহোদর ভাই ও মামাসহ একই পরিবারের তিনজন মারা যান। আর এ খবর শুনে পরিবারের লোকজন এখন পাগলপ্রায়, তাদের লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের গ্রামের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম।
দুই সহোদর ভাইয়ের বৃদ্ধ বাবা শাহাবউদ্দিন ও মা শাহেদা বেগমসহ পরিবারের লোকজনের চলছে আহাজারী। একই অবস্থায় জসিমের পরিবারেও।
কে ধরবে পরিবারগুলো হাল এ কথা বলে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন স্বজনরা। নিহতের মধ্যে জসিম দুই বছর আগে বিয়ে করেন। তার বাড়ি একই উপজেলার চরমার্টিন গ্রামের আলী হায়দরের ছেলে। তার একটি সন্তান রয়েছে।
দ্রুত লাশগুলো ফিরিয়ে আনাসহ সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান নিহতদের স্বজনরা।