রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী রিশা হত্যায় অভিযুক্ত ওবায়দুল আটক হওয়ার পর তাকে কোন সংস্থা গ্রেফতার করেছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
রমনা থানা পুলিশের দাবি, তারাই ডোমার থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওবায়দুলকে গ্রেফতার করেছে। তবে র্যাবও আলোচিত এ মামলার আসামীকে গ্রেফতারের দাবি করেছে।
বুধবার সকালে নীলফামারীর ডোমার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৪ আগস্ট ছুরিকাহত এবং ২৮ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পর রিসার মৃত্যুর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
ওই বিক্ষোভের সময়ই অভিযুক্ত ওবায়দুলকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের ঘোষণা দেয় পুলিশ। ওবায়দুলের ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয় অনুসন্ধান।
ওবায়দুল ডোমারে লুকিয়ে আছে – এমন খবর পেয়ে মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং আরও দু’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডোমারে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে ডোমার থানার পুলিশের সহায়তায় পুরো এলাকায় সাধারণ মানুষ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাঝে ওবায়দুলের ছবি ও পুলিশের ফোন নম্বর বিতরণ করে জানানো হয়, ছবির এই লোকটি ঢাকায় একটি স্পর্শকাতর ঘটনায় জড়িত।
পুলিশ সবাইকে অনুরোধ করে, এই ব্যক্তিকে যেন কেউ বাসায় জায়গা না দেয় এবং তার কোনো খোঁজ পেলেই যেন পুলিশকে সে ব্যাপারে জানানো হয়। রাতভর চলে ছবি ও নম্বর বিতরণ এবং মাইকিং।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে ডোমার থানার ওসিকে ফোন করে এক ইউপি সদস্য জানান, পুলিশের সরবরাহকৃত ছবির মতো দেখতে এক ছেলে এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছে। ওই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে সেই বাসার ঠিকানা নিয়ে সেখান থেকে ওবায়দুলকে আটক করে পুলিশ।
ওবায়দুলকে নিয়ে ফেরার পথে থানা ভবনের কাছাকাছি সাদা পোশাক পরিহিত দুই ব্যক্তি নিজেদের র্যাব সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। তারা আটক ওবায়দুলকে নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন।
আর এর পরপরই র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান, ‘আমরা ওবায়দুলকে আটক করেছি।’
পরে অবশ্য ওবায়দুলকে থানায় এনে আটক দেখায় ডোমার থানা পুলিশ।
ওসি ইন্সপেক্টর আহমেদ রাজীউর রহমান জানান, ‘ওবায়দুলকে আটক আমরাই করেছি, র্যাব নয়। আমাদের সঙ্গে রমনা থানার কর্মকর্তারা ছিলেন।’
র্যাবের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো কথা না বললেও কোনো কোনো গণমাধ্যমকে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ওবায়দুলকে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা।