চীনের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
বুধবার হোয়াইট হাউজে ব্যক্তিগত এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যু
নিয়ে সমস্যা চলছে চীনের। তার ওপর নিষেধ না শুনে এ দু’জনের দেখা করায় তীব্র
ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশটি।
দালাই লামাকে ‘একজন চীনবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী’ আখ্যা দিয়ে তাকে অতিথি হিসেবে গ্রহণ না করতে অনেক আগে থেকেই সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বেইজিং।
তবে এই বৈঠক একেবারেই ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। তিব্বতের এই ধর্মী নেতার আদর্শ ও শিক্ষার প্রতি অনুরাগ থেকেই ওবামা তার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানানো হয়। বৈঠকে ওবামা ও দালাই লামা মানবাধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বৈঠকে আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তিব্বত চীনের অংশ এবং চীনের থেকে তিব্বতের স্বাধীনতাকে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই সমর্থন করে না। এছাড়াও চীনের সঙ্গে বিভেদ মেটানোর জন্য চীনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে দালাই লামা ও তার প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন তিনি।
চীনের কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার পর দালাই লামা ১৯৫৯ সালে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানে কেন্দ্রীয় তিব্বতি প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
চীনের দাবি, দালাই লামা তিব্বতকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। কিন্তু এই ধর্মীয় নেতা ‘মধ্যমপন্থা’ অনুসরণের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি তিব্বতের জন্য স্বায়ত্বশাসন চান, স্বাধীনতা নয়। এজন্য চীন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি।
এ ব্যাপারে ওবামা দালাই লামার দৃষ্টিভঙ্গি এবং শান্তি ও অহিংসা প্রতিষ্ঠায় তার প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।