চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী ওপেক

ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি)-এর মহাপরিচালক ও সিইও সুলেইমান জাসির আল হারবিশ বলেছেন, ওপেক বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করতে চায়। বাংলাদেশ ওপেকের এক বড় অংশীদার এবং ৩২ বছর থেকে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। এখন আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাই।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার তেজগাঁও কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জাসির আল হারবিশ এসব কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে বিশেষ করে জ্বালানি ও জ্বালানি সমস্যা নিরসনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। ওপেক মহাপরিচালক বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশ্বের ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত। ওপেক পানি, খাদ্য ও জ্বালানির উপর গুরুত্বারোপ করেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের জন্য আরো বেশি কিছু করতে ওপেকের জুন মাসের কাউন্সিল সভায় তিনি এক প্রতিবেদন পেশ করবেন।

সুলেইমান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে অতি মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। মহাপরিচালক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের জন্য ওএফআইডি মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানিয়ে জ্বালানি সংকট সমাধানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা জানান।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তার ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল মাত্র ১১০০ মেগাওয়াট। তার সরকারের ৫ বছরের শাসনামলে তা ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। কিন্তু বিএনপির পরবর্তী ৫ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩২০০ মেগাওয়াটে নেমে আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে ১৫ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। ১৯৯৬ বেসরকারি কোম্পানিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্পৃক্ত করতেতাঁর সরকারের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি এটা জেনে আনন্দিত যে, নারীরা এখন ওপেকের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার তাদের প্রত্যাবাসনে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে। নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সব সময় সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। অনুষ্ঠানে মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।