বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করার আহবান জানিয়েছেন দলের পুনর্নির্বাচিত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। পার্টির অষ্টম কাউন্সিলে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান পদ নিশ্চিত হওয়া রওশন এরশাদও একই আহ্বান জানিয়েছেন। দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া নেতাদের ফিরে আসার আহবানও জানিয়েছেন তারা।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে জাতীয় পার্টির ৮ম কাউন্সিলে বিভেদ ভুলে দলীয় নেতা কর্মীদের নতুন করে শুরুর আহ্বানও জানান নেতারা।
এ কাউন্সিলে আবারো এরশাদকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। মহাসচিব হয়েছেন রুহুল আমিন হওলাদার। রওশন এরশাদকে করা হয়েছে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আর জিএম কাদের নির্বাচিত হয়েছেন কো-চেয়ারম্যান হিসেবে।
রওশন এরশাদ বলেন, আমরা এখন জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে, মৃত্যুর আগে একটি শক্তিশালী জাতীয় পার্টিকে আমরা দেখে যেতে চাই। আমি আশা করবো আপনারা ফিরে যাবেন এবং মাটি ও মানুষের কথা শুনবেন এবং লাঙ্গলের কথা তুলে ধরবেন। যেভাবে আমরা জাতীয় পার্টিকে গড়ে তুলতে চাই সেভাবে গড়ে তুলবো।
এর অগে কো-চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিরোধে দুর্বল হয়ে পড়েছিল পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা, তবে রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করার পর অবসান হয় সেই বিরোধের। কাউন্সিলের বক্তব্যেও ঐক্যের কথাই বললেন নতুন কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, এক ও অভিন্ন নেতৃত্বে প্রতি আমাদের সকলের আনুগত্য থাকতে হবে, তাহলেই ঐক্যবদ্ধ একটি জাতীয় পার্টি গড়ে উঠবে। এবং এই পার্টির সাংগঠনিক শক্তি ও রাজনৈতিক শক্তিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালে। ৭ বছর পর হওয়া ৮ম কাউন্সিলে সারাদেশ থেকে আসা নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন বিদেশী অতিথিরাও। দল পুনর্গঠনের সময়ে দীর্ঘদিন পর একই মঞ্চে রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিতরাও।
চেয়ারম্যানও বললেন, দল শক্তিশালী করতে যা প্রয়োজন তাই করবেন। নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনের কথাও বলেন এইচ এম এরশাদ। বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যারা চলে গেছেন তাদের বলবো, আপনাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে। আপনারা ফিরে আসুন।
ধারণা করা হচ্ছে এ কাউন্সিলের মাধ্যমে আসতে পারে নতুন কিছু পদ। কিছু পরিবর্তন আনা হবে গঠনতন্ত্রেও।