সবার উদ্বেগকে গুরুত্ব দিয়ে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ এগিয়ে নিতে চায় সরকার। পরিবেশবাদী ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে সরেজমিন সুন্দরবন ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে সরকারের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। সফরের মাধ্যমে সমস্যা সুরাহার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশবাদীরা।
সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য হুমকি হতে পারে দাবি করে দুই বছরের বেশি সময় ধরে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বন্ধের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে পরিবেশবাদীদের কয়েকটি সংগঠন। সে কারণে পরিবেশবাদী ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে সরেজমিন সুন্দরবন ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের উদ্যোগ নেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাজ বন্ধ না করে এ নিয়ে যাতে কারো প্রশ্ন না থাকে, কোনো দ্বিধা না থাকে সে জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রকল্পটির কাজ এগিয়ে নেওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে আমরা সচেতন। তাদের আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা আমার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমার সঙ্গে এসেছেন, পরিদর্শন করেছেন, বোটে গিয়েছেন, তারা স্বচক্ষে সব দেখেছেন।
সুন্দরবন ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে পরিবেশবাদীরা বলেন, যে বিষয়ে বিতর্ক চলছে শুধু দেখে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।
বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো: আব্দুল মতিন বলেন, যে মৌলিক প্রশ্নটা আজ এখানে এসেছে সেটা হলো কোনো হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য যে নৌপথ ব্যবহৃত হবে তার ইনভাইরনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট হয়নি। অথচ আমরা দাবি করছি ইনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেসব বিষয়গুলো সরকারের পক্ষ থেকে বা কোম্পানীর পক্ষ থেকে বলে আসা হয়েছে সেসবেরই পুনরাবৃত্তি দেখলাম। তারপরও আজকের পর্যবেক্ষণের পরে আমরা তথ্যগুলি জানলাম, সেই প্রেক্ষিতে আমাদের অবস্থান বিশ্লেষণ করবো। আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ হয়নি। খোলামেলা আলোচনার দরকার আছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা ব্যবস্থাপনা ও পশুর নদীর পানি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরিবেশবাদীরা। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পার হয়ে সুন্দরবনের আগে থাকা দুটি সিমেন্ট কারখানার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তারা।