চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এ রক্তক্ষরণ বাংলাদেশের, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের

সিলেটে ড. জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে সুধী সমাজের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বলা হয়েছে, এই হামলায় রক্তক্ষরণ হয়েছে বাংলাদেশের ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির। 

রোববার বিকেলে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার ও পরিকল্পনাকারীকে খুঁজে বের করতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের প্রজন্ম চত্বরের এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার সমাবেশের সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘বেছে বেছে মুক্তচিন্তার মানুষগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এর আগেও গণজাগরণ মঞ্চের বেশ কয়েকজন সক্রিয় সংগঠককে হত্যা করলেও খুনিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এ কারণেই হামলাকারীরা নিজেদেরকে বেশি শক্তিশালী মনে করে। আরও হামলা করার সুযোগ খোঁজে।’

‘অভিজিৎ রায়ের চার্জশীট দিতে ৩২ বার দিন পিছিয়েছে। অপরাধীরা সবসময় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল, থাকছে। তাদেরকে দ্রুত আইনের অাওতায় আনতে হবে।’

সমাবেশে লেখক ও প্রকাশক রবিন আহসান বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী হত্যার বিচারসহ লেখক-প্রকাশক হত্যার বিচার হয় না। যখন আমরা বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামতাম তখন আমাদের পাশে জাফর ইকবাল স্যার থাকতেন। সেই জাফর ইকবাল স্যারের উপর গতকাল পেছন থেকে হামলা করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিদেশি শক্তি ও মৌলবাদি শক্তি জড়িত। যার প্রথম শিকার অভিজিৎ রায়, দ্বিতীয় জাফর ইকবাল।’

মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, ‘যারা মুক্তমনাদের কন্ঠরোধ করেতে চায় তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। শুধু একজনকে গ্রেপ্তার করলে চলবে না এর পেছনে কারা ছিল। কারা মূল পরিকল্পনাকারী তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।’